সুকান্ত সিংহ
দেবী
এসেছি অনন্ত দাসের ভাটিখানা থেকে
ওদিকে নিঝুম দুপুরবেলা ঝুঁকে থাকে
রুখাশুখার দিনে মাজনা পুকুরের জাঁট
শ্যাওলা জমা গায়ে মাথা তোলে
গেঁড়িগুগলি তুলে অনন্ত দাসের বউ
উঠে আসে জলদেবীর মতন
তার বুকের বাঁদিকে ফনার উল্কি
স্পষ্ট দেখা যায়
ঝাঁপিয়ে পড়ার আগে
সেই উল্কির দেবীকে নমস্কার করি
বিড়াল
আজ থেকে বিড়ালের মতো হাঁটাচলা করা
লোকজন চিনে নিতে পারবি।
-- এই বলে গুরু চলে গেছেন তীর্থে।
তারপর থেকে পথেঘাটে বেরোলেই
স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি লোকজন তাদের
তীক্ষ্ম নখগুলো খুব যত্ন করে
লুকিয়ে রাখছে উষ্ণ থাবার ভিতর,
তাদের চোখের মণির পাল্টে পাল্টে যাচ্ছে।
কদিন আগে গুরু সংবাদ পাঠিয়েছেন--
বিড়ালের মতো হেঁটে যাওয়া লোক চেনার
ক্ষমতা তিনি আমার পড়শিকেও দিয়ে গেছেন!
কথাটা শোনার পর থেকে আর ঘর থেকে বেরুচ্ছি না।
গৃহস্থালির কবিতা
দেবী
এসেছি অনন্ত দাসের ভাটিখানা থেকে
ওদিকে নিঝুম দুপুরবেলা ঝুঁকে থাকে
রুখাশুখার দিনে মাজনা পুকুরের জাঁট
শ্যাওলা জমা গায়ে মাথা তোলে
গেঁড়িগুগলি তুলে অনন্ত দাসের বউ
উঠে আসে জলদেবীর মতন
তার বুকের বাঁদিকে ফনার উল্কি
স্পষ্ট দেখা যায়
ঝাঁপিয়ে পড়ার আগে
সেই উল্কির দেবীকে নমস্কার করি
বিড়াল
আজ থেকে বিড়ালের মতো হাঁটাচলা করা
লোকজন চিনে নিতে পারবি।
-- এই বলে গুরু চলে গেছেন তীর্থে।
তারপর থেকে পথেঘাটে বেরোলেই
স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি লোকজন তাদের
তীক্ষ্ম নখগুলো খুব যত্ন করে
লুকিয়ে রাখছে উষ্ণ থাবার ভিতর,
তাদের চোখের মণির পাল্টে পাল্টে যাচ্ছে।
কদিন আগে গুরু সংবাদ পাঠিয়েছেন--
বিড়ালের মতো হেঁটে যাওয়া লোক চেনার
ক্ষমতা তিনি আমার পড়শিকেও দিয়ে গেছেন!
কথাটা শোনার পর থেকে আর ঘর থেকে বেরুচ্ছি না।
গৃহস্থালির কবিতা
ছাড়তে হলে সমস্তই ছেড়ে আসা ভাল
পেছন থেকে যদি ধেয়ে আসে
ঢেঁকি ছাঁটা চালের গন্ধ
শিংয়ের চিরুনি
ফুল পাড়ার আঁকশি
তাহলে বুঝতে হবে
এখনো আয়ুরেখায় গৃহস্থালি বাকি আছে কিছু
অসমাপ্ত রয়ে গেছে আশাপূর্ণা পাঠ
পেছন থেকে যদি ধেয়ে আসে
ঢেঁকি ছাঁটা চালের গন্ধ
শিংয়ের চিরুনি
ফুল পাড়ার আঁকশি
তাহলে বুঝতে হবে
এখনো আয়ুরেখায় গৃহস্থালি বাকি আছে কিছু
অসমাপ্ত রয়ে গেছে আশাপূর্ণা পাঠ
Valo
ReplyDeleteচমৎকার লেখা। সুকান্ত সিংহ এক স্বতন্ত্র দৃষ্টির কবি। অসাধারণ লাগল। আন্তরিক শুভেচ্ছা।
ReplyDeleteলেখাগুলি চমৎকার।
ReplyDelete