জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়
শালপাতা ফেলে দেওয়ার আগে...
টোল খাওয়া বাটি আর নারকোলের মালা
পরিপূরক হওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে গড়িয়ে যায়।
লেবু পিষে চলে যায় নতুন বাহন
চাকায় থুতু আর অ্যাসিড মিশে শুকোয়ে।
স্টেশনের ঘড়ির মত মন্দিরের ঘন্টা বেজে ওঠে -- ঢং ঢং ঢং।
যারা শিশুধর্ষকদের উকিলের কাজ করে
বা পাঁচ-জন মিলে গুম-খুন করে চন্দ্রাহত রাতে
তাদেরও সমাজে একটা জায়গা আছে... থাকবে।
খবরের কাগজের ঠোঙায় জিলিপি খেতে চলে যাবেন নেতা
বিষম খাবেন, কামড়ে ফেলবেন জিভ... কেউ না কেউ ঠিক নাম নেয়।
পরিপূরক হওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে গড়িয়ে যায়।
লেবু পিষে চলে যায় নতুন বাহন
চাকায় থুতু আর অ্যাসিড মিশে শুকোয়ে।
স্টেশনের ঘড়ির মত মন্দিরের ঘন্টা বেজে ওঠে -- ঢং ঢং ঢং।
যারা শিশুধর্ষকদের উকিলের কাজ করে
বা পাঁচ-জন মিলে গুম-খুন করে চন্দ্রাহত রাতে
তাদেরও সমাজে একটা জায়গা আছে... থাকবে।
খবরের কাগজের ঠোঙায় জিলিপি খেতে চলে যাবেন নেতা
বিষম খাবেন, কামড়ে ফেলবেন জিভ... কেউ না কেউ ঠিক নাম নেয়।
গোড়ালিতে কালচে ধুলো-বারুদ মেখে চলে
যাবে মোক্ষদা
চোখ কচলে দেখবে মলীন প্যান্টি-সর্বস্ব নাবালিকা
শানে মাথা রেখে ঘন ঘন দীর্ঘশ্বাস ফেলে প্রভুভক্তি
লালা-জর্জর দুর্বল জিহ্বা তির-তির করে বলে --
তুই জালি, তুই জালি।
যে উকুন বাছতে বাছতে ঢেকেছিল উঁকি দেওয়া স্তন
তার পিচুটি-ঢাকা নিঃসঙ্গতা মনে পড়ে।
বড় পীরের মাজার থেকে আঁচল-ঢেকে সরানো ধূপ আর বাতাসা
কালীমন্দিরের বেদিতে রেখে মাথা ঠেকাতে দেখেছি তাকে।
রশিদা হোক বা রাসমণি... ভীষণ বামন করে দেয়।
স্টেশন, শরনার্থী শিবির, হাসপাতাল, সোনাগাছি, হাজত...
কোথায় কত বছর, কত মাস -- হিসেব করতে এসব মনে পড়ে।
আপাতত চলে যাচ্ছে... নতুন মন্দিরের কাছে;
নামগানে গলা মেলাই, ভোগ নিতে দাঁড়াই লাইনে।
রাত নিঃস্বপ্ন কাটলেও, দিবানিদ্রায় সমস্যা হয় না!
চোখ কচলে দেখবে মলীন প্যান্টি-সর্বস্ব নাবালিকা
শানে মাথা রেখে ঘন ঘন দীর্ঘশ্বাস ফেলে প্রভুভক্তি
লালা-জর্জর দুর্বল জিহ্বা তির-তির করে বলে --
তুই জালি, তুই জালি।
যে উকুন বাছতে বাছতে ঢেকেছিল উঁকি দেওয়া স্তন
তার পিচুটি-ঢাকা নিঃসঙ্গতা মনে পড়ে।
বড় পীরের মাজার থেকে আঁচল-ঢেকে সরানো ধূপ আর বাতাসা
কালীমন্দিরের বেদিতে রেখে মাথা ঠেকাতে দেখেছি তাকে।
রশিদা হোক বা রাসমণি... ভীষণ বামন করে দেয়।
স্টেশন, শরনার্থী শিবির, হাসপাতাল, সোনাগাছি, হাজত...
কোথায় কত বছর, কত মাস -- হিসেব করতে এসব মনে পড়ে।
আপাতত চলে যাচ্ছে... নতুন মন্দিরের কাছে;
নামগানে গলা মেলাই, ভোগ নিতে দাঁড়াই লাইনে।
রাত নিঃস্বপ্ন কাটলেও, দিবানিদ্রায় সমস্যা হয় না!
💙
ReplyDeleteস্টেশন, শরনার্থী শিবির, হাসপাতাল, সোনাগাছি, হাজত। শেষে মন্দির। অভাগাদের যাত্রা এভাবেই শেষ হয়।
ReplyDeleteভালো লাগলো জয়দীপ, একটা অন্য স্বাদ আছে-প্রীতম বসাক
ReplyDeleteধন্যবাদ প্রীতম দা।
Deleteকবিতাটা আরও ভালো লাগল এই কারণে, যে কবিতাটা প্রতিটা লাইনের ওপরেই দাঁড়িয়ে। নির্দিষ্ট ২/৩টে লাইনে নয়। অনেকসময় এমন বড় লেখায় ফাঁকি গুঁজে দেওয়া হয়, এখানে সেটা আমি খুঁজে পেলাম না। তোমার বাকি লেখাগুলোর ধরণের চেয়ে ভিন্ন। এবং ‘ভালো কবিতা’ হিসেবেই দাঁড়িয়েছে।❤
ReplyDelete— অভিষেক নন্দী
আমি সাধারণতঃ দীর্ঘ কবিতা লিখতে পারি না। সীমাবদ্ধতা।
Deleteঅল্প শব্দে, অল্প বাক্যে কবিতা লিখতে এবং পড়তে ভালো লাগে।
এটি নিজের মত করেই পর পর এসেছে চিন্তাগুলো। সামান্য কিছু দীর্ঘ কবিতা আছে।
প্রতিক্রিয়া জেনে খুব ভালো লাগল অভিষেক।
-- জয়দীপ।
পুরো কবিতাজুড়ে সময়ের কথা । সমাজের কথা । আজকাল কবিতায় যেখানে প্রতিবাদের পরিসর কমে আসছে , সেখানে দাঁড়িয়ে এই কবিতা চলমান সময়ের দলিল হয়ে রইল । বেশ বলিষ্ঠ লেখা ।
ReplyDeleteআমার যতটুকু প্রতিবাদ, কবিতাতেই। হয়ত কিছু গল্পে এসেছে সামান্য, মধ্যবিত্তের চোখে যতটা ধরা পড়ে। মধ্যবিত্তের সেন্স অফ অফ গিল্ট।
Deleteভালো লাগল এই কথাগুলি দেখে।
-- জয়দীপ।