সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ |
কবির সংজ্ঞা : কবি।
কবিতার সংজ্ঞা : কবিতা।
প্রিয় কবি বলতে যিনি কবি চণ্ডীদাসের স্মরণ
করেন, দক্ষিণ
ঢাকার নবাবগঞ্জ থানাস্থ বান্দুরা গ্রামে ১৯৬৫ সালে সেই কবি সুব্রত অগাস্টিন
গোমেজের জন্ম। এক বছর বয়সের আগেই পিতার কর্মস্থল ঢাকা শহরে আগমন এবং সেখানেই বেড়ে
ওঠা। শৈশব-যৌবনের অধিকাংশ কাটে পুরানা ঢাকার নারিন্দা, লক্ষ্মীবাজার, সুত্রাপুর এলাকায়। সেন্ট গ্রেগরিজ হাই স্কুল, নটরডেম
কলেজ আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে পড়াশোনার ভান।
মধ্য-আশি থেকে লেখা প্রকাশ পেতে শুরু করে
একবিংশ, প্রসূন,
প্রান্ত, গাণ্ডীব, সংবেদ,
অনিন্দ্য, নৃ, দ,
নির্মিতি, প্রভৃতি ছোটকাগজে। এখনও অবধি মূলতঃ
ছোটকাগজেরই লেখক। নিজে, মাসুদ আলী খানের সঙ্গে সম্পাদনা
করেছেন প্রসূন। তাছাড়া শামসুল কবির (ইচক দুয়েন্দে) ও ফরহানুর রহমান অপি-র সঙ্গে
প্রথমাবধি যুক্ত ছিলেন বৈকল্পিক প্রকাশনা সংস্থা পেঁচা-র সঙ্গে। ইদানীং অগ্রবীজ
পত্রিকার নামকাওয়াস্তা যৌথ সম্পাদক। “আশির মাতালেরা” নামে কোনো লিস্ট কেউ করলে তাতে অন্ততঃ সুব্রতকে বাদ কেউ দিতে পারবেই না।
অসীমকুমার দাস, সৈয়দ তারিক, বিষ্ণু
বিশ্বাস, শাহ্বাগ, চানখাঁর পুল,
টিএসসি, পাবলিক লাইব্রেরি, শান্তিনগর, মালিবাগ চৌধুরীপাড়া, সুত্রাপুর, বাংলাবাজার... দিনগুলি...
১৯৯৫ থেকে সুব্রত অস্ট্রেলিয়ায়।
প্রকাশিত বই:
১| "অন্তউড়ি" (পদ্য রূপান্তরে
চর্যাপদ, ১৯৮৯)
২| "তনুমধ্যা" (কবিতা, ১৯৯০)
৩| "নির্বাচিত ইয়েটস" (অনুবাদ,
১৯৯৬)
৪| "এলিয়টের প’ড়ো
জমি" (অনুবাদ, ১৯৯৮)
৫| "কালকেতু ও ফুল্লরা" (উপন্যাস,
২০০২)
৬| "পুলিপোলাও" (কবিতা, ২০০৩)
৭| "মাতৃমূর্তি ক্যাথিড্রাল" (গল্প,
২০০৪)
৮| "কবিতাসংগ্রহ" (কবিতা, ২০০৬)
৯| "দিগম্বর চম্পূ" (কবিতা, ২০০৬)
১০| "গর্দিশে চশমে সিয়া" (কবিতা,
২০০৮)
১১| "ঝালিয়া" (কবিতা, ২০০৯)
১২| "মর্নিং গ্লোরি" (কবিতা, ২০১০)
১৩| "কবিতা ডাউন আন্ডার" (অস্ট্রেলিয়
কবিতার অনুবাদ, অংকুর সাহা ও সৌম্য দাশগুপ্ত’র সাথে, ২০১০)
১৪| "ভেরোনিকার রুমাল" (কবিতা,
২০১১)
১৫| "হাওয়া-হরিণের চাঁদমারি" (কবিতা,
২০১১)
১৬| "স্বর্ণদ্বীপিতা" (বিশ্ব-কবিতার
অনুবাদ, ২০১১)
১৭| "আমাকে ধারণ করো অগ্নিপুচ্ছ মেঘ"
(কবিতা, ২০১২)
১৮| "Ragatime" (ইংরেজি কবিতা,
২০১৬)
১৯| "শ্রেষ্ঠ কবিতা" (কবিতা, ২০১৮),
২০| "ইশকনামা" (কবিতা, ২০১৯)
২১| "দশ মহাবিদ্যা" (কবিতা, ২০২০)
২২| "ছুরিতে ঠিকরানো আঁধিয়ার" (কবিতা,
২০২০)
পুরানো এক গুচ্ছ কবিতা
------------------------------------
১| ম্যাড্রিগাল ফর মার্গারেট
যেন আমি ঘুমিয়ে ছিলাম
এইমাত্র জেগে উঠিলাম
যেন আমি সারারাত জেগে
কাকভোরে ঘুমিয়ে পড়েছি
সারারাত সারাদিন
এই খেলা চলে
ঘুমিয়ে-ঘুমিয়ে জেগে-জেগে
সারাদিন সারারাত
তুমি এই কথা শুনে
হয়তো হেসেই কুটিপাটি
হয়তো তখনও আমি ঘুমে
ঘুমঘোরে কথা ব’লে গেছি
হয়তো তুমিও
ভেবেছ এসব কথা ভেবে
আমারে ঘুমন্ত তবু
হয়তো তখনই আমি জেগে
এই কথা সরল রেখায়
চ’লে যায় তোমাকে ছাড়িয়ে
আমি তার উপরে ও নীচে
সাঁতরাই ঘুমে জাগরণে
জানি না ঘুমেরও নীচে নামলে
অথবা জাগার চেয়ে জাগলে
এই কথা তথাপি তোমারে
কইবে কিনা কিছু
আপাততঃ আমি
হয়তো ঘুমে হয়তো জাগরণে
সারারাত সারাদিন
এই কথা বলি তুমি শোনো
কিংবা এই রঙিন ধুলায়
কখনও আচমকা দেখা যায়
হয়তো জেগেই আমি দেখি
হয়তোবা তুমি ঘুমঘোরে
হয়তো যে-রঙিন ধুলায়
আর এই সরল কথায়
ঘুম ভাঙে তোমার তাতেই
আমার জীবনে ঘুম নামে
হয়তো এ-সকলই কেবল
আমার সাধের চেয়ে দূরে
তোমারও জ্ঞানের অগোচরে
সারাদিন সারারাত
(সিডনি, ১৯৯৫)
২| শাহ্ মখদুম
রাত : সমনামবুলিস্ট ট্রেনটা ছুটে যায়, সুনসান
শূন্যমার্গে; যেন মর্গের দেরাজে-দেরাজে
লাশ
বার্থে-বার্থে হিমায়িত ঘুম-গুমসুম ইনসান;
রাত-কানা এক টিকেট-চেকার করে খানাতল্লাশ।
উৎকণ্ঠার ন্যায় নিঃসীম পদ্মার বিস্ফার,
শাহ্ মখদুম দুম দুম হয় হার্ডিঞ্জ্ ব্রিজ পার।
রাত : ছাইচাপা আপার-বার্থে ধূমপিণ্ডের মতো
গুলে-যাওয়া কোনো প্রত্যঙ্গের করি অনুসন্ধান,
চোখ-কান-হাত-চুল-নখ-দাঁত ছড়ায়ে ইতস্ততঃ
ঢুঁড়ি লাপাত্তা আত্মা আমার— হৈহৈ হয়রান।
উৎকণ্ঠার ন্যায় নিঃসীম পদ্মার বিস্ফার,
শাহ্ মখদুম দুম দুম হয় হার্ডিঞ্জ্ ব্রিজ পার।
তিরিশ-পাখির মতো উড্ডীন এক-ট্রেন খণ্ডতা,
মহান্ সেমুর্গ্ আর কত দূর? পোড়াদহ জংশন
আর কত পথ? শত-শত প্রাণ শুষে নিয়ে, অন্ধটা
কই আমাদের নঞ্ হ’য়ে, হায়,
ব’য়ে যায় শন্ শন্?
উৎকণ্ঠার ন্যায় নিঃসীম পদ্মার বিস্ফার,
শাহ্ মখদুম দুম দুম হয় হার্ডিঞ্জ্ ব্রিজ পার।
রাত : তকরার— একবার যদি পড়শি আমায় ছুঁত!
গলন্ত-লোহা-বহা যমুনায় খেয়া দেয় নিশি-কানু;
শরীর পালায় শরীরীকে ফেলে; সময়ের চেয়ে দ্রুত,
একটা মানুষ হবে ব’লে, ছোটে
এক-ট্রেন শুক্রাণু!
উৎকণ্ঠার ন্যায় নিঃসীম পদ্মার বিস্ফার,
শাহ্ মখদুম দুম দুম হয় হার্ডিঞ্জ্ ব্রিজ পার।
(সিডনি, ২০০৪)
৩| নির্বাক্
যে-বাক্য দেহ ধারণ করেছে মম
কী-ভাষায় তাহা কয়েছিলে, প্রিয়তম,
হে বাগীশ, হে জেহোভা,
বাক্যশরীর হ’য়েও, আমি-যে
রয়েছি জন্মবোবা!
যে-ভাষায় আমি শুনেছি আমার নাম
জন্মের আগে, কখনও না-শিখলাম
আমি-যে তা আগেভাগে,
ও আলিফ-লাম-মিমের মালিক, এ-বধ কাহারে লাগে?
ফেরেশতাদের কী-ভাষায় বলো, স্বামী,
কী-ভাষায় কারে জিগাব এ-সব আমি?
পাতো কোন্ ভাষে কান?
কী-ভাষায় তোরে বন্দে তামাম মজনুন-আশেকান?
সে-কি সংস্কৃত? আরবি? ফরাসি?
রুশি?
কোন্ ভাষে তুমি হবা সমধিক খুশি?
নাকি স্রেফ বাংলায়
বললেই ঠিক পড়বে তোমার অভিযোগ-গামলায়?
হয়ও যদি, তবু, এই বাংলার ভাষা
কইতে-কি পারে, যারা নয়, ধরো, চাষা?
শেখায়ই-বা কে এ-বুলি?
বিদ্যাসাগর? নাকি টেকচাঁদ? না সুনীল গাঙ্গুলি?
(সিডনি, ২০০৪)
৪| খাত
কা! আমার কা!
আমায় চিনতে পারছ না?
আমার আকাশ ছিলে তুমি,
আমি ছিলাম তোমার ভূমি
কয়েক হাজার হিজরি আগে
তখন সৃষ্টি জাগে-জাগে,
দৃষ্টি জাগে-জাগে।
কা! আমার কা!
তুমি এমন স্বচ্ছতা!
আমি দেখি না তোমায়,
আমি চোখ খুলে ঘুমাই,
অন্ধ ফুলের মতো
আমার নীরব পরাগ-ব্রত,
আমি আমার চেহারার
একটা কফিনে নিঃসাড়।
এক রাজা দুই রানি
খুলল ক্ষৌমবস্ত্রখানি,
খুলল আমায় তোমার থেকে,
নদীর মতন এঁকেবেঁকে
তুমি উধাও হ’য়ে গেলে
একটা খামে আমায় ফেলে,
উত্তুরে নীল-স্রোতে
মধ্য- সমুদ্রে পৌঁছোতে।
আমি ব্যান্ডেজে মোড়ানো
একটা গবেষণাগার,
আমার ভাল্লাগে না আর,
হয় না মরণের মরণও।
কা! আমার কা!
আমায় দেখতে পাচ্ছ না?
হায় কী স্বচ্ছতা!
(২২ আগস্ট ২০০৮)
৫| কালো-জল
আমি তার রায়বার গাই দশ মুখে :
সে যদিও কদাচন টানেনি স্ব-দলে,
নরুনই চুনেছে নিত্য নাকের বদলে,
শিথিল করেনি পর্দা আমার সম্মুখে,
তবু তারই রেক্তা এই হিবাচির ধারে
ধুনার ধোঁয়ায় আর তেলের আলোয়
গেয়ে যাই, যেসময় আমার আলয়
ফুট-ফুট ডুবে যায় তরল আঁধারে।
এই একটিবারই আমি পেয়েছি যে তাকে—
নিজ-হাতে তার সাদা-ঘোমটা ঘোচালাম!
বলো একে শুভদৃষ্টি, বা বলো চেহলাম,
আমারই আয়েশে সে-তো চোখ বুজে থাকে
আমারই গায়ের নীচে আবেশ-নিথর...
আমরা দু’জনেই কালো-জলের ভিতর।
(৩ আগস্ট ২০০৮)
৬| মমি ও মোড়ক
আমি খুলছি তোমার মোড়ক!
আমি খুলছি তোমার মোড়ক!
ভিতরে-কি তুমি হচ্ছ, নাকি
তুমি হচ্ছ তোমার বাইরে?
আমি ঢুকছি তোমার ভিতর,
না, বেরোচ্ছি তোমার বাইরে?
নাকি তুমি আমার মোড়ক?
তুমি খুলছ আমার মোড়ক?
(১৩ নভেম্বর ২০০৮)
৭| ব্ল্যাক হোল
আমি তোমাকে ভাবি, আর বৃষ্টি হয়,
কুচিকুচি-ভাঙা আয়নার টুকরার মতো
একেকটা ফোঁটা, তোমার চোখের ছায়া
প্রতিটি ফোঁটায়।
আমি তোমাকে ভাবি না, আর ঝাঁ-ঝাঁ রোদ
হলুদ সাবম্যারিন বহরের মতো
হাওয়ার দরিয়া পাড়ি দেয়,
প্রতিটির গায়ে আঁকা তোমার ঘুমন্ত ঠোঁট,
স্বপ্নে-কেঁপে-ওঠা।
আমি এক আলোকবর্ষ দূর থেকে
তোমাকে টানছি, এক অতৃপ্ত ব্ল্যাক হোল,
তুমি আসছ না, আসছে বৃষ্টি, রোদ,
আরও আসছে, হুড়মুড় চ’লে আসছে সব,
সাদা নীহারিকা-মেঘে ভেসে আসছে আমার শৈশব।
(৯ ডিসেম্বর ২০১০)
৮| শীতল অনল
কৃষ্ণাদ্বাদশীর চাঁদ
জ্বলছে জ্বলছে জ্বলছে জ্বলছে
ফুটপাতে প্রতিমাহারা হুমড়ি খেয়ে পড়েছে দেউল
ছিন্নমুষ্ক পুজারির অব্যক্ত চিৎকার
হেকসেন-হাওয়ায়
ফলের ঝুড়িটি থেকে জন্মান্ধসুন্দর
একশ’-আট ধাপ ভেঙে জলে নেমে যায়
আত্মমুগ্ধ অ্যাস্প্
ল্যাজে বাঁধা তাগা ও তাবিজ
জ্বলছে
খামের ভিতর থেকে উঁকি মারে আরও এক খাম
কুমারীর জ্যান্ত গর্ভফুল
লাল সী-আর্চিন
ধূলিকুহেলিকা
অসঙ্খ্য খুরের মতো দ্রুত দূরযায়ী
একটা ফেলে-আসা দিন
মুছে-যাওয়া ছায়ার চুম্বন
নীল অ্যাস্প্ নীলতর জল
জ্বলছে
হে প্রভু উৎপাটন করহ আমায়
হে প্রভু উৎপাটন করহ আমায়
এই প্যাপিরাস-লেখ থেকে
খামের ভিতর থেকে উঁকি মারে আরও আরও খাম
জ্বলছে
(১ মে ২০১১)
'বাক্' - এর জন্য নোতুন
কবিতা
----------------------------------------
৯| জঙ্গম পতনশীলতা
আমি জেনে চলেছি আমাকে
চলেছি জানিত হ’য়ে আমি
আমি বড় হচ্ছি ক্রমে
যা-কিছুই জানছি হচ্ছি আমি
সময়ে আমার জানাজানি
সময়ে আমার হওয়াহউয়ি
সময় আমার বাইরে নয়
আমি নঞ্ সময়ের বাইরে
কিন্তু বাইরে আমার বিলকুল
বাইরে কিছু আছে কিছু আছে
তার-থেকেই নিয়ে বড়তর
হচ্ছি কিন্তু কমছে না তা
এমন-এক চৌবাচ্চা যা-থেকে
যতখুশিগুলি ঘড়া ভরো
তত ভরা থাকে অহরহঃ
আমি নদী সদা তারই পানে
আমার জানায় তা-ই মানে
তোমার জানায় জানা যায়
টানছে সে-ই যেরকম মাটি
আপেলেরে নোনা-বুকে টানে
তারপর আপেল গ’লে যায়
মিশে গিয়ে মাটি হ’য়ে যায়
লীন হওয়া তাকে মুক্তি বলে
নাকি চিরকারাগার সেটা
কে জানে কোন্টাকে তুমি
দ্যাখো কোন্ চোখের আলোয়
সে যদি আমার বিপরীত
আমি আলো হ’লে সে আঁধার
নাকি এক বিপরীত-আলো
সময় যেভাবে আমি-ছাড়া
অসময় সেও তবে
ততক্ষণ যতক্ষণ আমি
আমাদের বাঁচা আর মরা
অন্যোন্যনির্ভর আপেক্ষিক
কাজেই মরব না আমি মেয়ে
নিশ্চিন্তে আমার কোলে শোও
ধীরে-ধীরে মুছে দেব আমি
(১৯ জানুয়ারি ২০২০)
১০| ভিতরে সাজ্জাদ
কবিতাটা লিখতে দাও, যেটা লিখতে আসা।
সিম্পোজিয়ামের বাইরে রাইসু বইসা হাসে,
তারে তারা ঢুকতে দেয় না, ধুতি নাইক্কা, তাই।
আমি বলি, রাইসু, চলো, আমরা চইলা যাই।
রাস্তায় হাঁটি-গা। হাঁটলে, আমরা কবিতাই।
কবিতা-তো হাঁটে, রাস্তা-ঘাটে, গঞ্জে-হাটে,
কবিতার জন্য কেন এত মাইক্রোফোন?
মহার্ঘরা পাঞ্জাবিতে ইত্রে-হিনা দিউন,
আমরা ভাঙ্গি ভাঙ্গা-পথ, স্পঞ্জের স্যান্ডেল
ছিঁড়তে-ছিঁড়তে চইলা যাই ভিড়তে-ভিড়তে ভিড়ে
বাটে পড়ি, জ্যামে বইসা ঘামতে-ঘামতে ব্যাগে—
কাগজটা? তোমারে দিছি? গেল
চাইরটা লাইন!
বলছিলাম? মনে আছে? লীসাদের
বাসা
ঠাণ্ডাপানি পাওয়া যাবে, ফ্রিজ আছে-তো, বড়-
লোক ওরা, কাজের মেয়েরা থাকলে পুরা র-র-
ঢুকতে না-দিতেও পারে। সিলাই করায়া
ল’ন মুচি থাকতে-থাকতে। কবিতাটা নিয়া
কোনো মাথাব্যথা নাই সিম্পোজিয়ামের।
(১৯ জানুয়ারি ২০২০)
১৪৩ তম 'বাক্' কবি সুব্রত
অগাস্টিন গোমেজকে তাঁর ব্যতিক্রমী কবি কৃতির প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করলো এই
সংখ্যার মাধ্যমে।
মারাত্মক কাজ হয়েছে,স্যালুট
ReplyDeleteখুব ভালোভাবে পড়লাম। প্রতিটি কবিতার বুনট, চিম্তন এক ভিন্ন ধারা দাবী করে।" শাহ মখদুম ", সেই সুফি সাধকের চরণ চিহ্ন দেখতে পেলাম হার্ডিঞ্জ তথা নির্মিত পদ্মা সেতুতে। কবির জন্য রইলো অনন্ত শুভেচ্ছা ।।
ReplyDeleteঅনেক ধন্যবাদ, পড়বার জন্য...
Deleteগণিতেও কেউ কেউ মজা পায়। কিন্তু আমি পাই না। বিশেষত যদি পানের প্রয়োজন পড়ে। খুবই দু:খিত বাক টিম এবং প্রিয় অগ্রজ। কবিতায় ওনার সাইনসমূহ বিদ্যমান যথেষ্ট পরিমাণে-অনুপ্রাস, ছন্দ, শব্দের খেলা, গাঁথুনি। কিন্তু প্রিয় গোমেজ ভাইয়ের কবিতা পড়বার যে অপেক্ষা, আশা। ‘ভিতরে সাজ্জাদ’-বাদে বাকিগুলো তা পূরণ করতে পারেনি। ঠিক পানির পিপাসায় যেমন এইচটুও বা ডিস্টিল্ড ওয়াটার। বাসরে বাঙালি বধুর বদলে যেমন জাপানি ওয়াইভ্স।
ReplyDelete