সমন্বয়
কবিতার নাম নেই, সংখ্যার কয়েদ
মনে পড়লো : ঋত্বিকা ভট্টাচার্য, ফুলদিকে
আবুকে
১
নিজের
সাথে শান্ত বোঝাপড়ায় গরল গড়িয়ে পড়ছে কান থেকে, ইয়ত্তা নেই কত প্রেমিকার দেহ কথার জন্ম
দেয়নি, খবরে আর সুখবরে বংশতালিকা ভরিয়ে তুললো পাপ, প্রায়শ্চিত্ত : মিছিল ছাড়া, নিন্দুক, আমাদের আর কোনো পবিত্র অভিসার নেই এলাকায়I
২
আশ্চর্য
চিহ্ন কেঁপে ওঠে, জন্মান্ধ কাগজে - ছায়া লেগে পিষে গেছে শহর - আত্মহননেই শিকড় আদত সুখী জেনো
- কখনো কাওকে মনে-মনে ভালোবেসো
না ।
৩
ভুল
হয়ে ছিলো , ভীষণ ভুল হয়েছিলো , জলের কাছে গিয়ে বলিনি আমিও নগ্ন
তোমার মতন , অস্বচ্ছ কাগজে কালো দাগে , হেড্লাইনে নেশা ধরেছিলো , কাগজ , হে কাগজ , কবিরাজ হবো না আমি I
তুমি , আলপিন জন্মে
বাতাসকে
ছুঁয়ে আছো , ভাসছো , কেনো ঘুমিয়ে
আছো মুগ্ধ বিস্ফোরণের আগে ,
জানো না - জানো না তুমি . . .
কবিতার
অন্ধকার পদবী
মনে
পড়লো : আঁখিকে I
১
শব্দদের
প্রজনন বেলায়, কিছু বিশ্বাস
খসে যায়
শরীরে
ঝুল মেখো না তাই বলে-
নদীরা
কখনো সোজা হয়ে আসেনি. . .
দু
একটা যোগাযোগ ব্রেক ফেল করলেও
একটি
শ্বাস তার আগেরটির থেকে
আলাদাই থাকবে।
২
সাদা
আগুনে চোখ স্থির রেখে
দাঁড়িয়ে
রয়েছে চিৎকার
তার
মণিবীজে শেয়াল থম মেরে আছে
তারা
যুক্তবর্ণ মেলে দেবে- যখন
প্রতিবেশীঘর
ফাঁকা হয়ে যাবে
যৌবনরেখা
জামা পড়ে নেবে-
তারা
ডাক ছুঁড়ে দিলে
৩
বরফ
ছিটে গিয়ে লাগে পেন্সিলে-
পালাগানে
গ্রাফাইট ভেঙে গেলে,
স্মৃতিরা ন্যাড়া হয়ে যায়
সাদা
জমিতে শরীরে আগুন জ্বালিয়ে ধাতুশিল্পীরা
আকাশের
দিকে- ছুঁড়ে দেয় ধ্যান- ঈর্ষায় ?
আমি
সাত ইঞ্চি স্বপ্নে গুঁজে দিই চোখ
সাতারুর . . .
আমি, চিকন বর্শায় তুলে
নিই আগুনের কেশর
কাগজের
ভুলঘরে,
পাগলের
তন্তু ছিঁড়ে গিয়ে, বসে, শিকারীর কোলে,
শিকারের মতন . . .
বেশ লাগল
ReplyDeleteভালো লাগলো পড়ে। অনবদ্য।
ReplyDelete