।। বাক্ ১৪৩ ।। সমন্বয় ।।


সমন্বয়

কবিতার নাম নেই, সংখ্যার কয়েদ

মনে পড়লো : ঋত্বিকা ভট্টাচার্য, ফুলদিকে
আবুকে

 
নিজের সাথে শান্ত বোঝাপড়ায় গরল গড়িয়ে পড়ছে কান থেকে, ইয়ত্তা নেই কত প্রেমিকার দেহ কথার জন্ম দেয়নি, খবরে আর সুখবরে বংশতালিকা ভরিয়ে তুললো পাপ, প্রায়শ্চিত্ত : মিছিল ছাড়া, নিন্দুক, আমাদের আর কোনো পবিত্র অভিসার নেই এলাকায়I

আশ্চর্য চিহ্ন কেঁপে ওঠে, জন্মান্ধ কাগজে - ছায়া লেগে পিষে গেছে শহর - আত্মহননেই শিকড় আদত সুখী জেনো -  কখনো কাওকে মনে-মনে ভালোবেসো না ।

ভুল হয়ে ছিলো , ভীষণ ভুল হয়েছিলো , জলের কাছে গিয়ে বলিনি আমিও নগ্ন তোমার মতন , অস্বচ্ছ কাগজে কালো দাগে , হেড্লাইনে নেশা ধরেছিলো , কাগজ , হে কাগজ ,  কবিরাজ হবো না আমি I
                   
                     তুমি , আলপিন জন্মে বাতাসকে  
                     ছুঁয়ে আছো , ভাসছো , কেনো ঘুমিয়ে 
                     আছো মুগ্ধ বিস্ফোরণের আগে ,
                     জানো না - জানো না তুমি . . .



কবিতার অন্ধকার পদবী

মনে পড়লো : আঁখিকে I


শব্দদের প্রজনন বেলায়, কিছু বিশ্বাস 
                                                        খসে যায় 
শরীরে ঝুল মেখো না তাই বলে-
নদীরা কখনো সোজা হয়ে আসেনি. . .

দু একটা যোগাযোগ ব্রেক ফেল করলেও 
একটি শ্বাস তার আগেরটির থেকে 
                                                আলাদাই থাকবে  


সাদা আগুনে চোখ স্থির রেখে
দাঁড়িয়ে রয়েছে চিৎকার
তার মণিবীজে শেয়াল থম মেরে আছে
তারা যুক্তবর্ণ মেলে দেবে- যখন
প্রতিবেশীঘর ফাঁকা হয়ে যাবে
যৌবনরেখা জামা পড়ে নেবে-
তারা ডাক ছুঁড়ে দিলে


বরফ ছিটে গিয়ে লাগে পেন্সিলে-
পালাগানে গ্রাফাইট ভেঙে গেলে, 
                               স্মৃতিরা ন্যাড়া হয়ে যায় 

সাদা জমিতে শরীরে আগুন জ্বালিয়ে ধাতুশিল্পীরা 
আকাশের দিকে- ছুঁড়ে দেয় ধ্যান- ঈর্ষায়

আমি সাত ইঞ্চি স্বপ্নে গুঁজে দিই চোখ 
                                                সাতারুর . . .
আমি, চিকন বর্শায় তুলে নিই আগুনের কেশর 
কাগজের ভুলঘরে
পাগলের তন্তু ছিঁড়ে গিয়ে, বসে, শিকারীর কোলে
                                               শিকারের মতন . . .

2 comments: