আমি ও মোজার্ট
বিশুদ্ধ
ছুরির নিচে শুয়ে পড়ো এইবার,
সোনামানিক আমার;
কতখানি
কেটে ফেলে দেবো বলে দাও,
যার
সাথে কোনোদিনই দেখা হয়নি,
তার
কথা বারবার আমার কানে—
ফুসমন্তরের
মতো দেবার আগে
বলো
তো দেখি, ঠিক কোনখানে তোমার হৃদয়?
ওখানে
বহুবছর রক্ত বইছে—
যেনো
এক একটা কীর্তনখোলা;
লঞ্চের
ভোঁ, যেনো
হোগলার জলায় লুকিয়ে থাকা নৌকা
পিছলে
চলে গেছে দিগন্তহীন লোকালয়ে;
মানুষের
মাঝেই তো ছিলে গত কিছুদিন,
তাই নয় কি?
সারা
গায়ে কিসের সব দাগ! ছিঃ ছিঃ ছিঃ
ছোটবেলায়
খোসপাঁচড়া হয়েছিলো শুনি!
ছুরি
দিয়ে চেঁছে তুলে নেই চামড়া?
কী বলো!
এই
রিকশা তুই প্যাডেল চালা,
একবার
পাক ঘুরে আর একবার পাক ঘুরে আয়,
চালা
ব্যাটা, রিকশা চালা, হুড তুলে দে,
ধারালো
ছুরির ডগায় চুমু খাবো,
হাতের
চেটোয় টেবিল নিয়ে বসে থেকে
ঝাঁকুনিতে
এফোঁড় হয়ে গেছি, ভেতরে বিশুদ্ধ কফ জমেছে দেখি;
কন্ঠের
ঠিক নিচেই সা রে গা মা পা...
এইগুলো
ফালতু শব্দ,
শুনো
না— শুনো
না— পর্দা ফেটে যাবে, শুনো না;
এসো
শুয়ে পড়ো
শানিয়ে
নিয়েছি ছুরি, স্টেরিলাইজড এই বিছানা,
সুঁই
সুতা তৈরি করে রাখি শিমুলগাছের ডালে,
আচ্ছা
চারিদিকে এতো টিয়েপাখির কি দরকার!
ওগুলো
পুড়িয়ে দিলেই তো সবুজের একটা আমদানি চালান
জাহাজে
করে নিয়ে আসি, একটা দ্বিপাক্ষিক বানিজ্যও হলো,
আমরা
কিছু জন দেশে দেশে ঘুরবো,
বেহালার
ছড়ে ছড়ে,
তানপুরার
পাছায় পাছায় সেঁধিয়ে দেবো সটান লিঙ্গ;
তবু
এসো শুয়ে পড়ো
আমি
এ্যাপ্রন পড়ে তৈরী হয়েছি দেখো,
আমি
সাধুর বেশে!
রঙ্গিলা
নায়িকার স্তনের ডগার মতো ডগোমগো করতে করতে,
নাচতে
নাচতে, ঝুঁকে আসি তোমার তলপেটের আরো নিচে;
শুয়ে
পড়ো বাছা আমার,
উপর
হয়ে শোও কি চিৎ হয়ে তাতে কিছু যায় আসে না,
এই
ব্যাটা রিকশা চালা,
এক
প্যাডেল, দুই প্যাডেল, তিন প্যাডেল,
কাটাছেড়া
শেষ করে আমাকে মোজার্ট শুনতে হবে,
আমাকে
ফিরে যেতে হবে লেড জেপলিনের কাছে,
পিঙ্ক
ফ্লয়েড আমার বাসায় এসে কফিন ভাড়া চেয়ে গেছে গতকাল;
ওরাও
আসবে, চালা ব্যাটা চালা!
এসো
বুক পেতে দাও, মাথা পেতে দাও, পিঠ পেতে দাও
আমার
হাতে তর সইছে না আর সই,
ও সই গো! মা’গো!
আমি
পুরুষ নই গো আর,
ভেতরে
বীর্য নেই পুরুষের, এসো,
কাকলী
করে পাখিরা উড়ে যায়
আকাশের
নিচে আকাশ নামের ভ্রান্তিতে এসো
শুয়ে
পড়ো, এই
দেখো বিছানা পেতেছি,
জমতে
দিয়েছি দই, খাবে এসো,
তার
আগে বলতো দেখি এই বিশুদ্ধ ছুরিটা কোথায় বিঁধিয়ে দেই?
deergho kobita lekhar ei attempt ke sadhubaad janai.
ReplyDelete