সঞ্জীব কলমচি
দায়িত্ব
আবার দেরি করলেন
হেড অফ দ্য ডিপার্টমেন্ট অফিসে আসতে। সত্যিই বিরক্ত দুঁদে আইএএস অফিসার ভদ্রমহিলা।
কিন্তু আপাদমস্তক ভদ্রলোক এই হেড অফ দ্য ডিপার্টমেন্টটি রোজ এত দেরি করছেন কেন? সত্যিই অন্য কোনও কারণ নেই তো?
পরেরদিন অফিসে
আসার আগে তাই গাড়ি নিয়ে সোজা সেই অধস্তন অফিসারের বাড়ি চলে গেলেন ভদ্রমহিলা।
কিন্তু গিয়ে তো হতবাক। বিপত্নীক ভদ্রলোক তিনটি
সন্তানকে তৈরি করে স্কুলে পাঠাতে হিমশিম খাচ্ছেন।
সেদিন নিজের
জীবনে একটা বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সেই আইএএস অফিসার। বাবাকে জানিয়ে দিলেন তিনি
বাবার শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী বিয়ে করতে রাজি। তবে বিয়ে করবেন ওই অধস্তন অফিসার
ভদ্রলোকটিকে। অফিসের পাশাপাশি বাড়িতেও দায়িত্ব নেবেন তাঁর ও তাঁর তিনটি সন্তানের।
শৈশব
ভোরের রেলস্টেশন।
এখনও ভালো করে আলো ফোটেনি। বিশাল অজগর সাপের
মতন হিসহিস করতে করতে থামল দিল্লিগামী এক্সপ্রেস ট্রেন। বাচ্চা ছেলেটা চায়ের কেটলি
হাতে নিয়ে এসি কম্পার্টমেন্টের দরজা ঠেলে ঢুকল। কম্পার্টমেন্টের এমাথা থেকে ওমাথা
অবধি ধীরেধীরে প্রত্যেককে জিজ্ঞাসা করতে করতে গেল চা নেবেন কিনা।
আজও সেই শিশু
সরকারি সম্পত্তির এই মাথা থেকে ওইমাথা অবধি ঘুরে ঘুরে দেখছে। প্রশ্ন একটাই তার মনে। আর কিছু কি বিক্রি আছে?
কানে কানে
স্বাতী মেয়েকে
নিয়ে বাপের বাড়িতে এসেই ফেটে পড়ল। অধ্যাপক বাবার
কাছে অনুযোগ ক্লাস নাইনের মেয়েকে এতবার করে ছেলে বন্ধুরা ফোন আর হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ
পাঠাবে কেন?
স্বাতীর মা চা দিতে
এসে স্বাতীর কানে কি একটা ফিসফিস করে বলে গেল।
ঠিক, তখন স্বাতীর মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে সবে। সিনে অ্যাডভান্স পত্রিকার পেন
ফ্রেন্ড কলাম দেখে এভাবেই তো আজকের জামাই ভাস্করকে চিঠি লিখেছিল স্বাতী।
Besh valo
ReplyDeleteদারুন দারুন ব্যাপার!! খুব আনন্দ হচ্ছে আমার!! এগিয়ে চলুক লেখা সঞ্জীব কলমচি।❤️
ReplyDeleteদারুন দারুন ব্যাপার!! খুব আনন্দ হচ্ছে আমার!! এগিয়ে চলুক লেখা সঞ্জীব কলমচি।❤️
ReplyDelete