বাদল সরকার "এবং ইন্দ্রজিৎ" নাটকে
মানুষের জীবনকে সাতবছরের ইউনিটে ভাগ করেছিলেন। ৭,১৪,২১,২৮,৩৫ ইত্যাদি। নিজের নিজের
প্রয়োজনে আমরা এই ইউনিটকে ১০ বছরে বা ৮ বা ৯ এ ভাগ করে নিতে পারি। প্রকৃতপক্ষে
আমরা আমাদের সিদ্ধান্তগুলো নিজেরা সবসময় স্বাধীনভাবে নিতে পারি না। শৈশব কৈশোরে
বা বৃদ্ধবয়সে তো নয়ই,এমনকি যৌবনেও। বেশিরভাগ সময়ে আমাদের
মর্জিমাফিক সিদ্ধান্ত গুলো চলে না। পারিপার্শ্বিক পরিবেশ-পরিস্থিতির উপর নির্ভর
করেই চলতে হয় আমাদের।
এসব কথা বলছি, কারণ, আমার
১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সটা ভেবেছিল একরকম স্বপ্নের কথা আর পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি নিয়ে
গিয়ে ফেলেছিল আর এক স্বপ্নের ভেতর। তাতে আমার জীবন আশীর্বাদই পেয়েছে, এত এত মানুষের ভেতর দৈনন্দিনের বেঁচে থাকায় এক অন্য জগৎ আমার কাছে ধরা
দিয়েছিল, এ কি কম প্রাপ্তি!
তখন কোলকাতার মহাবোধি সোসাইটি হল, বা অন্য আরো অনেক হলে
মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন সেমিনার, মিটিং, হত।
আমার সিনিয়ার কয়েকজন সেইসময় জঙ্গল মহলের বিভিন্ন অংশে সংগঠনের কাজ করতেন। মেদিনীপুরেরই
ঘাটাল,চন্দ্রকোনা,গড়বেতা, বিষ্ণুপুরের জয়পুর,হুগলির কামারপুকুর, এমনসব এলাকায় বাড়ি ছিল তাঁদের। লালগড় গোয়ালতোড়, বেলপাহাড়ি
ইত্যাদি জায়গায় কয়েকটা গ্রামের কয়েকজনের যোগাযোগের ভিত্তিতে সংগঠনএর কাজ গড়ে তোলার
চেষ্টা করা হচ্ছিল। আমি তখন সেই সব সেমিনারে রামগড় লালগড় বেলপাহাড়ি থেকে যে
মানুষেরা আসত তাদেরকে খড়্গপুর থেকে নিয়ে ট্রেনে করে পৌঁছে দিতাম কলকাতায়। আবার
কলকাতা থেকে পত্রপত্রিকা নিয়ে গ্রামে গঞ্জে পৌঁছে দিতাম। ৯৭ এর দিকে বের হত
"ক্রান্তিকাল", যা পরে "বিপ্লবী যুগ"
নামে প্রকাশিত হয়।
এই
সময় আমি একদিকে সিপিএম পার্টি-অফিসে হোলটাইমার অ্যাটেনডেন্স হিসেবে থাকতে শুরু
করি। বাড়িতে খাবার নেই। পার্টি অফিসে এন্তার খাবার।অন্যদিকে বংশীদা'দের সাঁওতাল পাড়াতেও যাতায়াত বেড়ে যায়। গড়ঙ্গা, সাঁওতালকাটা,
কলুরডাঙা ইত্যাদি জায়গায় পার্টির টুকটাক কাজকর্ম করতে থাকি। ফলতঃ
পার্টির ভেতরটাকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ এসে যায়। আমি যে ভেতরে ভেতরে সুদীপ
চোংদারের পার্টির সাথেও যোগাযোগ রাখি, তা সিপিএমের নেতাদের
কাছে অজানা ছিল। নাকি ওরা তা জানত, আমার ধারণা ছিল না।
মাসতিনেক যেতে না যেতেই সিপিএম পার্টির
সংকটটাকে চিনতে পারি কয়েকটি ঘটনায়। গড়ঙ্গা সাঁওতালকাটায় মোরামরাস্তার একদিকে ছিল
সরকারি ডিপটিউব-ওয়েল। সেদিকে সম্পন্ন চাষীদের জমিতে তিনফসলী চাষ হত, সেচের সুবিধার কারণে।
অন্যদিকে রাস্তার অপরপাশে জঙ্গল লাগোয়া সাঁওতালদের কয়েকশো বিঘা জমিতে কেবলমাত্র
বর্ষার সময়েই টুকটাক ধানচাষ হত। অথচ ডিপটউব-ওয়েলের একটামাত্র পাইপের দেড়শো মিটার
এক্সটেনশন হলেই ওই কয়েকশো বিঘা জমিও তে-ফসলী হতে পারে,নামমাত্র
খরচে।এ নিয়ে সাঁওতালদের মনে বিক্ষোভ ছিল যথেষ্ট।
আমি দেখলাম,বিষয়টা নেতৃত্বের কানে তোলা
দরকার।পার্টি-অফিসে সুযোগমতো সেকথা একবার বললাম।
নেতারা আমাকে বোঝাতে লাগল, সে অনেক ঝামেলার ব্যাপার।
চুরাশি সালে তৈরি হওয়া ডিপ-ওয়েল এখন আর এক্সটেনশন করা যায় না, ট্রান্সফরমারের কে.ভি. বাড়াতে হবে ইত্যাদি নানাকারণ দেখিয়ে-শুনিয়ে তারা
আমাকে নিরস্ত করতে চাইল। বুঝলাম, নেতারা বুঝে গেছে
সাঁওতালদের দিক থেকে বিক্ষোভের কোন সম্ভাবনা নাই।তারা বশংবদ, অতয়েব নিশ্চিন্ত। অনেকে তো বলেই ফেলল,ওখানে
সাঁওতালদের মধ্যে আমাদের ব্রাঞ্চ সেক্রেটারি, পার্টি মেম্বার,
এজি মেম্বাররা আছে, তারা এ বিষয়ে কোন কথা বলছে
না, তোমার কেন মাথা-ফাটলো হে!
সবাই হো হো করে হেসে উঠল। গুরুতর অপমানিত বোধ
করলাম।
শুকনো মুখে সাঁওতালপাড়ায় ফিরে এসে ওদেরকে সব
বললাম। যারা পার্টির সাথে যুক্ত তারা বলল, প্রথমেই তোকে বলেছিলাম, কিছু হবে না। ওদের সাথে কথা বলে বুঝলাম, 'হলে ভালো
হত, না হলে আর কী করা যাবে! ' গোছের
চিন্তা-ভাবনা ওদের। বিক্ষোভ দেখানো মানেই পার্টির বিরুদ্ধে যাওয়া হয়ে যাবে। আর
বিরোধিতা টের পেলেই ওরা কেউ কেউ ল্যাম্পস্(লার্জ সাইজ এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড
মাল্টিপারপাস সোসাইটি) থেকে যে সুযোগ সুবিধা পায় সেটা বন্ধ হয়ে যেতেপারে। পাইয়ে
দেওয়ার রাজনীতি এখানে খেলা করছে।নিচুতলার কমরেডদেরকে বেঁধে রাখার ষড়যন্ত্র।
কিন্তু সবাই তো তা নয়! দামুদা, তামড়,বংশীদা'র মতো কেউ কেউ বিদ্রোহ করতে চাইল। বুঝলাম "এই সব মূঢ় ম্লান মুক মুখে
দিতে হবে ভাষা "!
সেসময় বক্তৃতা দেওয়ার বাই ছিল আমার।একটি
নাতিদীর্ঘ বক্তব্যর পর দরখাস্ত লিখে সই আর টিপসই সংগ্রহ করতে বেরিয়ে পড়লাম জনাদশেক মিলে।তিনটি গ্রাম থেকে হাজার খানেক সই মিলল।
অর্থাৎ যাঁরা কমরেডদের ভয়ে মুখ খুলছিল না, তাঁরাই যে জমির
জন্য সবকিছু করতে পারে এই অভিজ্ঞতা হল আমার।
যথাসময়ে সেই দরখাস্ত পঞ্চায়েত ও বিডিও অফিসে জমা দেবার পর পার্টি অফিসে আমাকে নিয়ে হামলে পড়ল সবাই।
তুলকালাম বাক্-বিতন্ডার পর আমাকে শৃঙ্খলাহীনতার দায়ে অভিযুক্ত করে পার্টি অফিস
থেকে অলিখিত বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হল।যে কমরেডরা
গ্রামে,বনের ধারে জনতার সামনে বসে মিটিংএর সময় মন থেকে আমাকে
সাপোর্ট করেছিল, পার্টি-অফিসে দাদাদের সামনে ইমেজ ও ইজ্জত
বাঁচাতে তারাই আমাকে তেড়ে মারতে এল!
ভালোই হল। কয়েকদিন অপেক্ষার
পর শপাঁচেক লোক নিয়ে গেলাম বিডিও অফিস তার আগে ভাঙচুর হল স্হানীয় সেচদপ্তরের
অফিসটিও। এখানে নিযুক্ত সরকারি কর্মীরা ছুটল বিডিও অফিস। সারাদিন আন্দোলনের পর
বিকেল নাগাদ বিডিও, এডিও, আমাদের দাবী
মেনে নিয়ে, কীভাবে,আর কোন জমির উপর
পাইপলাইন বসানো যায় তার ব্যবস্থা করতে বললেন।
সেইদিনই সাঁওতালপাড়ায় রাতের খানাপিনা সেরে
নিজের গ্রামে ফেরার পথে আমি প্রথমবারের জন্য অ্যারেস্ট হই! সিপিএমের সামাজিক
ফ্যাসিবাদের রূপটির সাথে আমার প্রত্যক্ষ মোলাকাত হল।
খাওয়া দাওয়ার পর আমাকে কয়েকজন বাড়িতে না
ফিরতে অনুরোধ করে। বলে,"রাতটা হ্যাতায় থেকে যা বামড়্যা! বনকাটায়(আমার গ্রাম) তকে মাইরবে বলছে।
যাসনা!"
কিন্তু সেদিন একটু বেশিই পান হয়ে গিয়েছিল, ঘোরের মধ্যে আমি ফিরতে থাকি,
বাঁদিকে জঙ্গল আর ডানপাশে মাইতিপাড়ার কয়েকটা ঘরের বাঁকের মুখে একদল
লোক আমাকে ঘিরে ধরে। এরা সবাই আমার পরিচিত। সমবয়সী বন্ধু, আর
সহপাঠীও ছিল কেউ কেউ।
কয়েকজন এলোপাতাড়ি মারতে থাকে, আমার সবেধন নীলমনি
সাইকেলটিকে ওরা ভেঙে দেয়।
দু'জন কমরেড এই গোটা মিশনটিকে পরিচালনা করে।
তারা এখন তৃনমুলএরও নেতা। কয়েক মিনিট সেই উন্মাদ জনতার হাতে মার খাওয়ার পর পুলিশ
আসে। আমাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। অচৈতণ্য রাত কাটার পর সকালবেলায়,ফুলে-ওঠা ডুমো চোখের ফাঁক দিয়ে দেখি, আমার শতচ্ছিন্ন
মা গরাদের ওপারে "পুলিশবাবা"দের হাতে পায়ে ধরে হাপুসনয়নে ছেলেকে ভিক্ষা
চাইছে।
ধীরে ধীরে আমি জানতে পারি
"আমার কাছে একটি পিস্তল ও কয়েক রাউন্ড গুলি পাওয়া গেছে। এবং রাতের রাস্তায়
সেই বন্দুক দেখিয়ে আমি এক মোটরসাইকেল আরোহীর টাকা-পয়সা লুঠ করেছি।"সেই মোটর
সাইকেল আরোহীর খোঁজ আমি আজও পাইনি।
এখন যা ফয়সালা করার তা আদালতেই হবে।
মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেলে গিয়ে আমার জন্য আর
একটি চমক অপেক্ষা করছিল। "আরে ভাই তুই এখানে!" বলে আমাকে যে জড়িয়ে ধরল
তার নাম চঞ্চল জানা। হ্যাঁ,কবি চঞ্চল জানা। তিনি আজ আর আমাদের মধ্যে নেই। দুরুদুরু বুকে জেলে ঢোকার
পর, সেখানটা আমার পক্ষে কত সুখকর হবে ভেবে যখন আমি মর্মাহত,
তখনই বন্ধুর সাহচর্য আমাকে নবজীবন দিয়েছিল সেদিন।
পরে জেনেছিলাম, গড়বেতা থেকে ওর দেশের বাড়ি
যাওয়ার পথে কেশপুরের শীর্ষা বাসস্ট্যান্ডে বাস থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ ওকে
তৃণমূল-বিজেপির গুন্ডা সন্দেহে অ্যারেস্ট করে। আসলে ও যাচ্ছিল দেশের বাড়িতে নানা
কাজ নিয়ে।
যেহেতু গড়বেতা থেকে আসছে অতয়েব সে
"তৃণমূল-বিজেপি" এই অকাট্য আইনি যুক্তিতেই চঞ্চল ফেঁসে যায়। তখন
গড়বেতা-কেশপুরে সিপিএমএর সঙ্গে বিরোধীদের তুমুল লড়াই চলছে।তৃণমূল-বিজেপির জোট লড়ছে
সিপিএমের সঙ্গে।
বোমা-বন্দুক গুলি আর মৃত্যুর
মিছিল লেগেছে। ঘরবাড়ি পুড়ছে, লাথি মেরে গর্ভবতীর পেট থেকে
নিকেশ করা হচ্ছে ভবিষ্যতের বিরোধীদের! কত মানুষ যে নীরবে কঙ্কাল হয়ে যাচ্ছে তার
হিসেব নেই। জমির ধান, পুকুরের মাছ, বাড়ির
মেয়ে,সবই হার্মাদের দখলে। অস্ত্র কেনার
জন্য ৫০০০,১০০০০ ট্যাক্স বসছে শিক্ষকদের উপর। মারাত্মক এক ভয়
ছেয়ে থাকত গ্রামে গঞ্জে। চা-দোকানে রাজনৈতিক আলোচনা ছিল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যেন
হিটলারের কোন খুঙ্খার উত্তর-পুরুষ অঘোষিত ফতোয়া দিয়ে মুখ বন্ধ করে দিয়েছে
গ্রামগুলোয়। বিকেল হলেই শূন্য-মাঠ, খাঁ খাঁ রাস্তা।
চঞ্চলের এই জেলখাটার বিষয়টা আমরা কয়েকজন
বন্ধু ছাড়া বিশেষ কেউ জানত না। আমি কোথাও আলোচনা করতে গেলে এমবারাসিং ফিল করত ও, তাই আমি থেমে যেতাম।
ঘটনাচক্রে ফেঁসে গেছল চঞ্চল।
আর আমার জীবনের মোড়ও
ঘুরিয়ে দিয়েছিল এই ঘটনা। এক স্বপ্ন থেকে আর এক স্বপ্নের দিকে দ্বিধাহীন।
সেদিন আমার গ্রামের যে
মানুষটি আমার পিছনে লেগেছিল, তার নাম অসীম। একসময় কংগ্রেস করত, পরে
তৃণমূল-বিজেপি শিবিরে যোগ দিয়ে সিপিএমের পার্টি অফিস পোড়ায়। সেই অপরাধে জেলে যায়,
জেল থেকে ফিরে সিপিএম এর অলিখিত ব্রাঞ্চ সেক্রেটারি হয়, সিপিএম ভোগে গেলে তৃণমূল এর বর্তমান ব্রাঞ্চ সেক্রেটারি। এখন কানাঘুষো
শুনছি বিজেপির সাথে যোগাযোগ রেখেছে। তৃণমূল ভোগে গেলেই বিজেপির ব্রাঞ্চ সেক্রেটারি
হবে।
সে যাই হোক, অসীমেরা যুগে যুগে অমর
থাকুক! তারমতো প্রতিভার শতফুল বাংলার গ্রামে গ্রামে বিকশিত
হোক।
এই ঘটনার পরই আমি পাকাপাকি ভাবে ঘর ছেড়ে
বনবাসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।সাত দিনের মাথায় আমি ছাড়া পাই, আর চঞ্চল তারও কয়েকদিন পর।
চঞ্চলকে তিনমাস থাকতে হয়েছিল জেলে। জেল থেকে আমার ছাড়া পাওয়ার পরই সুদীপদা আমাকে
পাঠিয়ে দেয় ধলভুমগড়ের ডুমারিয়ায় যেখানে সংগঠক হিসেবে তখন কাজ করছিলেন অসিত সরকার
দাদা।
ক্রমশঃ
শেষ করলাম এইমাত্র। আজ আর অন্য কিছু পড়ে উঠতে পারবোনা এই বোধ নিয়ে।এতো দূর থেকে আমরা দেখি আর এতো কিংবদন্তি আমরা শুনি, যে এলোমেলো হয়ে যায় আমাদের সব ইতিহাস। খুব কাছ থেকে একটি আদর্শকে ভালোবাসা, তার জন্য নিজের সবটুকু হৃদয় উজাড় করে দিয়ে তাকে যখন ক্যান্সার আক্রান্ত দেখতে হয় ,তখন যে ব্যথা,তা সন্তানহারানোর বেদনার সাথে তুলনীয়। আমরা অনেকেই একটু একটু সে ব্যথা অনুভব করেছি।আমাদের আগের প্রজন্ম আরো বেশি অনুভব করেছে অবশ্যই কেউ কেউ।তুই লিখতে পারলি।এই লেখার সামনে অপরাধী হয়ে বলবো, না লাগে ফেটে পড়বো এই দোলাচলে থাকতে থাকতে বারবার একটা দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে উঠছে---গারদের পিছনে পাভেল আর পুলিশবাবুদের কাছে "শতচ্ছিন্ন মা"!
ReplyDeleteরাজনীতি স্তব্ধ হও।লজ্জা পাও অসীমবাবুরা।
আমি ঐ ছবির কাছে নির্জন হই।
অজস্র ভালোবাসা এই অধ্যায়ের জন্য বন্ধু
ধন্যবাদ শ্রুতি। চলতে চলতে ভেঙেপড়া আবার উঠে দাঁড়ানো এভাবেই চলুক। তোদের পাঠ আমাকে উজ্জীবিত করে।
ReplyDeleteতোর এই লেখা আমাকে সেইসব দিনগুলোতে আবার ফিরে নিয়ে যাচ্ছে। যে অধ্যায়ে আমি ও রাধে ছিলাম বৃত্ত থেকে একটু দূরে। তবুও তা আমাদেরও টেনে নিচ্ছিল এক অদৃশ্য ভয়ের চাপা পরিবেশে।
ReplyDeleteতোর এই লেখা আমাকে সেইসব দিনগুলোতে আবার ফিরে নিয়ে যাচ্ছে। যে অধ্যায়ে আমি ও রাধে ছিলাম বৃত্ত থেকে একটু দূরে। তবুও তা আমাদেরও টেনে নিচ্ছিল এক অদৃশ্য ভয়ের চাপা পরিবেশে।
ReplyDeleteতোর এই লেখা আমাকে সেইসব দিনগুলোতে আবার ফিরে নিয়ে যাচ্ছে। যে অধ্যায়ে আমি ও রাধে ছিলাম বৃত্ত থেকে একটু দূরে। তবুও তা আমাদেরও টেনে নিচ্ছিল এক অদৃশ্য ভয়ের চাপা পরিবেশে।
ReplyDelete