অনির্বাণ সূর্যকান্ত।
অনির্বাণঃ- ক্ষুধা পেলে জেলে খেয়ে ফেলে ক্যালেন্ডারের তারিখ
, আর মাকরসা খেয়ে ফেলে জাল!
চন্দনাঃ- আমিই ঈশপের গল্প জানি, জালে আঁটকে গেলে হরিন, ক্ষুধা বাড়ে
ব্যাধের , একটি বিমান আমাদের সেই কথা বলেছিল!
অনির্বাণঃ- জেলেরা কাঠ পেন্সিল খায় না, হরিন কাঠ পেন্সিল
খায় না, মাঝি খায় না শার্টের কলার, তবুও কোথাও যেন কে খেয়ে দিচ্ছে মুক্তি, মিছিল,
স্বাধীনতা । অন্ধকারও এক হৃদয়। বন্যা কবলিত উন্মাদ কার্বন।
চন্দনাঃ- ছাপাখানায় হাঁটু মুড়ে বসে গেছে অক্ষর জ্বর, তার প্রতিজ্ঞা সে লুকিয়ে ফেলবে নিকট আত্মীয়ের রুমাল পাখি
অনির্বাণঃ- আমি জানি ক্ষুধা পেয়ে গেছে পাসওয়ার্ড , জলের
নিচে জাহাজের বসতি।
চন্দনাঃ- শরীরের প্রতি তার বদ্ধ তালাঘর ? গোছানো টেবিলের
কুসুম, সনাতন প্রজাপতি ?
অনির্বাণঃ- অবিশ্বাসে আসে , বিশ্বাসে আসে, রাধা কৃষ্ণের
আযানে, বারান্দায়-
চন্দনাঃ- ভাগ করো নাভির ঈশ্বরী, একা , দুই খণ্ডে , রাতে,
জোড়া হাতে। পিশাচের ড্রামস্টীক ক্ষুধায়।
অনির্বাণঃ- যেমন ভিক্ষুক এক পাখি, ঈশ্বর এক পাখি, কান্না এক
পাখি,
চন্দনাঃ- আবৃত করেছ প্রতিজ্ঞা নারী, দিন রাতের মেলা। ভয়ে
আপাতত বনভোজন ,
অনির্বাণঃ- ক্ষুধায় নারী এক গুচ্ছ লবনের চিহ্ন, মৌমাছি,
ফুলের নামে যার পীড়া দেখা দেয় ।
চন্দনাঃ- ফলবান মেঘ, উর্বর হাতে সমুদ্র রেখে মানুষের কাছে
জিজ্ঞাসা করছে মাঝি পাড়ার নৌকা।
অনির্বাণঃ- এখানে চিহ্ন উঠে উচু কাঁধের লতায়, আয়োজন আর
বাতাসে অবৈধ পাথরের ফুল , খেয়ে ফেলছে পুত্রবধূর কাম , ক্লান্তি শোনাচ্ছে ঘনিষ্ঠতা
।
চন্দনাঃ- আর অহঙ্কার ? পাতালে নেমে যায় অঙ্গার হওয়া
অন্ধকার, তীব্র মদিরা, মানুষের প্রস্তাবতিও সেলাই করা গর্ভ ।
অনির্বাণঃ-শুয়ে আছি পাতলা পাটিতে, বাড়ি ফিরছে বারান্দা ,
নজর এড়িয়ে সন্ধা বেলা প্রেমিক হয়ে গেছে অহেতুক শহরের চিরুনির চাঁদ ।
চন্দনাঃ- ব্যাংক পথে ছেড়ে যাচ্ছে সৎ মায়ের অন্তর্বাস, বাবার বন্দর নগরের ঘাম পোড়া মাছের খামার। পোড়া মুরগী জানেনা পাঞ্চ মারার কার্ড। রমণীরা নোটিশ ঝুলিয়ে দিয়ে, “সুরা নেই”
অনির্বাণঃ- ক্ষুধা এক মহৎ সঙ্গীত এই ব্যাপারটা জেলে পাড়ায়
ধরা পরা পর প্রাচীন লিলিথের মতো লাগে।
চন্দনাঃ- যেমন রাষ্ট্রবিজ্ঞান? যেমন দ্রাক্ষারস ? যেমন
বুটের আঘাত ? শরণার্থীর আকাশ দেখা ?
অনির্বাণঃ- অসঙ্গত তারিখের ভাজ বুকে নিয়ে জাদুবলে হেঁটে যায়
অজ্ঞাত পেমেন্ট , যদিও তারা জানে সুঠাম চাদের মায়া
পাখি, রাইফেল, আর বড়জোর বালুর বুকে উপন্যাস ।
চন্দনাঃ- ঘুমন্ত মুখের হা করা বান্ধবীর ক্লায়েন্ট, শান্ত
হয়ে আছে অফসেট পেপারের অভিজ্ঞতা, আধেক খোলা দরজায় ফিরে যাবো।
অনির্বাণঃ-দরজা, ক্ষুধা লাগলে বুক জলে নেমে আসে, বুলেট গলে
নিরর্থক করে দেয়।
চন্দনাঃ- অনির্বাণ শিখায় বানাতে পারে ঈশ্বর! মাতাল, দাতাল,
সনাতন!
অনির্বাণঃ- প্রতিহত করো, বঞ্চনা , নির্যাতিত ভিয়েতনাম , যে
অর্থ শেখেনি ভালবাসার বা দুর্নীতির!
চন্দনাঃ- ভালো লাগে, ভালো লাগে পাপ, বুকের মধ্যে খাঁচা
ক্ষুধা ! খাজনার খতিয়ান!
অনির্বাণঃ- ক্ষুধা আর মাঝিপাড়া যেন ভাঁটির দেশ, উজানে আছে
সিরিয়া, একতারা, ডুবে দেখো সবুজ ভ্রান্তি আর লালন।
চন্দনাঃ- তোমার অন্তর্বাসের নুপুর, রংপুর, টেকনাফ, পাখতুন,
আর শিশুর মুখের লোল ।
অনির্বাণঃ- বলতো কবিতা কি?
ক্ষুধা ? অন্ধ্রপ্রদেশের সবিতা , বৈষ্ণবী ফুলের চড়ুই ?
চন্দনাঃ- নাকি পৃথিবী মাপতে বসা, বেগুনী রঙের ভিড়ের বাজার ।
অনির্বাণঃ- হা আজ দুপুর, নারীতন্ত্র, উচ্চারন, পুরুষ ,
সাম্প্রদিয়কতা , পাপ ঘৃণা , ফুরিয়ে যাচ্ছে জল, লাতিন আমেরিকা ।
চন্দনাঃ- বুকের কাছে এক ফালি শীতার্ত সবুজ কুকুর! আমার
ছাত্র এসেছে, তাঁকে বসতে দিই সন্দ্বীপে !
অনির্বাণঃ-ট্রেন এক মাঝি পাড়া , পতাকা নিয়ে পালাচ্ছে, চাঁদ
রাষ্ট্র বিজ্ঞানে নেই, বসন্ত রাষ্ট্র বিজ্ঞানের জনক, শোন!
চন্দনাঃ- আর প্লেটে পড়ে আছে মরা শিশুর লিভার ।
পাহাড়ের ফর্সা পেট । এক পাশে বসা শুক্রাচার্য ।
অনির্বাণঃ- নাহ! আমি সাদা আপ্রোনের ক্লিনিকের গান
শুনছি , আমি দেখছি সিঁড়ি ঘরের পরাহত
নিতম্ব আর জিজ্ঞাসা।
চন্দনাঃ- নাহ, স্নান করা বসন্ত বউল , আর বৃক্ষাবলি , বাহুতে
দেখছি মন্দিরের স্বরবর্ণ ।
অনির্বাণঃ- নেড়ে দাও, নেড়ে দাও ভান ধরা শিল্প , বের হয়ে
আসুক দগ্ধ বুড়ো কনডমের কাশফুল ,
চন্দনাঃ- আজ থেকে চাষ করবো পাখির যত্ন, ফুঁটুক ঘাস, কামজল
স্থানান্তরিত হয়ে , হয়ে গেল ওড়নাপাখি মাস।
অনির্বাণ সূর্যকান্ত।
অভিনব ! অসামান্য লাগলো
ReplyDelete