।। বাক্ ১৪৩ ।। অনির্বাণ সূর্যকান্ত। ।।


অনির্বাণ সূর্যকান্ত।




অনির্বাণঃ- ক্ষুধা পেলে জেলে খেয়ে ফেলে ক্যালেন্ডারের তারিখ , আর মাকরসা খেয়ে ফেলে জাল!
চন্দনাঃ- আমিই ঈশপের গল্প জানি, জালে আঁটকে গেলে হরিন, ক্ষুধা বাড়ে ব্যাধের , একটি বিমান আমাদের সেই কথা বলেছিল!

অনির্বাণঃ- জেলেরা কাঠ পেন্সিল খায় না, হরিন কাঠ পেন্সিল খায় না, মাঝি খায় না শার্টের কলার, তবুও কোথাও যেন কে খেয়ে দিচ্ছে মুক্তি, মিছিল, স্বাধীনতা । অন্ধকারও এক হৃদয়। বন্যা কবলিত উন্মাদ কার্বন।
চন্দনাঃ- ছাপাখানায় হাঁটু মুড়ে বসে গেছে অক্ষর জ্বর, তার প্রতিজ্ঞা সে লুকিয়ে ফেলবে নিকট আত্মীয়ের রুমাল পাখি

অনির্বাণঃ- আমি জানি ক্ষুধা পেয়ে গেছে পাসওয়ার্ড , জলের নিচে জাহাজের বসতি।
চন্দনাঃ- শরীরের প্রতি তার বদ্ধ তালাঘর ? গোছানো টেবিলের কুসুম, সনাতন প্রজাপতি ?

অনির্বাণঃ- অবিশ্বাসে আসে , বিশ্বাসে আসে, রাধা কৃষ্ণের আযানে, বারান্দায়-   
চন্দনাঃ- ভাগ করো নাভির ঈশ্বরী, একা , দুই খণ্ডে , রাতে, জোড়া হাতে। পিশাচের ড্রামস্টীক ক্ষুধায়। 

অনির্বাণঃ- যেমন ভিক্ষুক এক পাখি, ঈশ্বর এক পাখি, কান্না এক পাখি,
চন্দনাঃ- আবৃত করেছ প্রতিজ্ঞা নারী, দিন রাতের মেলা। ভয়ে আপাতত বনভোজন ,

অনির্বাণঃ- ক্ষুধায় নারী এক গুচ্ছ লবনের চিহ্ন, মৌমাছি, ফুলের নামে যার পীড়া দেখা দেয় ।
চন্দনাঃ- ফলবান মেঘ, উর্বর হাতে সমুদ্র রেখে মানুষের কাছে জিজ্ঞাসা করছে মাঝি পাড়ার নৌকা।

অনির্বাণঃ- এখানে চিহ্ন উঠে উচু কাঁধের লতায়, আয়োজন আর বাতাসে অবৈধ পাথরের ফুল , খেয়ে ফেলছে পুত্রবধূর কাম , ক্লান্তি শোনাচ্ছে ঘনিষ্ঠতা ।
চন্দনাঃ- আর অহঙ্কার ? পাতালে নেমে যায় অঙ্গার হওয়া অন্ধকার, তীব্র মদিরা, মানুষের প্রস্তাবতিও সেলাই করা গর্ভ

অনির্বাণঃ-শুয়ে আছি পাতলা পাটিতে, বাড়ি ফিরছে বারান্দা , নজর এড়িয়ে সন্ধা বেলা প্রেমিক হয়ে গেছে অহেতুক শহরের চিরুনির চাঁদ ।



চন্দনাঃ- ব্যাংক পথে  ছেড়ে যাচ্ছে সৎ মায়ের অন্তর্বাস, বাবার  বন্দর নগরের ঘাম পোড়া মাছের খামারপোড়া মুরগী জানেনা পাঞ্চ মারার কার্ড। রমণীরা নোটিশ ঝুলিয়ে দিয়ে,সুরা নেই

অনির্বাণঃ- ক্ষুধা এক মহৎ সঙ্গীত এই ব্যাপারটা জেলে পাড়ায় ধরা পরা পর প্রাচীন লিলিথের মতো লাগে।
চন্দনাঃ- যেমন রাষ্ট্রবিজ্ঞান? যেমন দ্রাক্ষারস ? যেমন বুটের আঘাত ? শরণার্থীর আকাশ দেখা ?


অনির্বাণঃ- অসঙ্গত তারিখের ভাজ বুকে নিয়ে জাদুবলে হেঁটে যায় অজ্ঞাত পেমেন্ট , যদিও তারা জানে সুঠাম চাদের মায়া পাখি, রাইফেল, আর বড়জোর বালুর বুকে উপন্যাস ।
চন্দনাঃ- ঘুমন্ত মুখের হা করা বান্ধবীর ক্লায়েন্ট, শান্ত হয়ে আছে অফসেট পেপারের অভিজ্ঞতা, আধেক খোলা দরজায় ফিরে যাবো।

অনির্বাণঃ-দরজা, ক্ষুধা লাগলে বুক জলে নেমে আসে, বুলেট গলে নিরর্থক করে দেয়। 
চন্দনাঃ- অনির্বাণ শিখায় বানাতে পারে ঈশ্বর! মাতাল, দাতাল, সনাতন!

অনির্বাণঃ- প্রতিহত করো, বঞ্চনা , নির্যাতিত ভিয়েতনাম , যে অর্থ শেখেনি ভালবাসার বা দুর্নীতির!
চন্দনাঃ- ভালো লাগে, ভালো লাগে পাপ, বুকের মধ্যে খাঁচা ক্ষুধা ! খাজনার খতিয়ান!

অনির্বাণঃ- ক্ষুধা আর মাঝিপাড়া যেন ভাঁটির দেশ, উজানে আছে সিরিয়া, একতারা, ডুবে দেখো সবুজ ভ্রান্তি আর লালন।
চন্দনাঃ- তোমার অন্তর্বাসের নুপুর, রংপুর, টেকনাফ, পাখতুন, আর শিশুর মুখের লোল ।

অনির্বাণঃ- বলতো কবিতা কি?  ক্ষুধা ? অন্ধ্রপ্রদেশের সবিতা , বৈষ্ণবী ফুলের চড়ুই ?
চন্দনাঃ- নাকি পৃথিবী মাপতে বসা, বেগুনী রঙের ভিড়ের বাজার ।

অনির্বাণঃ- হা আজ দুপুর, নারীতন্ত্র, উচ্চারন, পুরুষ , সাম্প্রদিয়কতা , পাপ ঘৃণা , ফুরিয়ে যাচ্ছে জল, লাতিন আমেরিকা ।
চন্দনাঃ- বুকের কাছে এক ফালি শীতার্ত সবুজ কুকুর! আমার ছাত্র এসেছে, তাঁকে বসতে দিই সন্দ্বীপে !

অনির্বাণঃ-ট্রেন এক মাঝি পাড়া , পতাকা নিয়ে পালাচ্ছে, চাঁদ রাষ্ট্র বিজ্ঞানে নেই, বসন্ত রাষ্ট্র বিজ্ঞানের জনক, শোন! 
চন্দনাঃ- আর প্লেটে পড়ে আছে মরা শিশুর লিভার পাহাড়ের ফর্সা পেটএক পাশে বসা শুক্রাচার্য

অনির্বাণঃ- নাহ! আমি সাদা আপ্রোনের ক্লিনিকের গান শুনছি  , আমি দেখছি সিঁড়ি ঘরের পরাহত নিতম্ব আর জিজ্ঞাসা।
চন্দনাঃ- নাহ, স্নান করা বসন্ত বউল , আর বৃক্ষাবলি , বাহুতে দেখছি মন্দিরের স্বরবর্ণ ।

অনির্বাণঃ- নেড়ে দাও, নেড়ে দাও ভান ধরা শিল্প , বের হয়ে আসুক দগ্ধ বুড়ো কনডমের কাশফুল  ,
চন্দনাঃ- আজ থেকে চাষ করবো পাখির যত্ন, ফুঁটুক ঘাস, কামজল স্থানান্তরিত হয়ে ,  হয়ে গেল ওড়নাপাখি মাস।

০৫.১১.১৪২৫
অনির্বাণ সূর্যকান্ত।

1 comment:

  1. অভিনব ! অসামান্য লাগলো

    ReplyDelete