দুঃখের কবিতা-২
১.
কুটো আর ধুলো এসে পড়ছে
মিড-ডে মিলের আলাদিনে
কিন্তু বাচ্চাদের আনন্দে টোল পড়ছে না
সব দুঃখ আসলে বৃক্ষের
তার ব্যাংক ব্যালেন্স বিপদ সীমার কাছাকাছি
মাঠের অন্তর্নিহিতে হেঁটে যায় যে মানুষ
সে আদতে ভিজিয়ে দিচ্ছে ফসলের মধুমাস
ভাতের কোনো অহংকার নেই যারা জানে
তাদের মুখ থেকে শিশুর অবিকল নেমে আসছে
২.
গর্ভের দিনগুলোতে আমরা মেঘ মেলে দিয়েছি
পাখিদের থেকে নিয়েছি আবহ সংগীত
আমরা দেখছিলাম কাজপাগল মানুষের শ্রদ্ধা
গাছের ঠোঁটে লেগে থাকা অমিয়ভূষণ
যে আর্য ঈশ্বরের প্রচ্ছদ করেছিল
তার দুঃখের পাশে প্রিয় রেখো তুমি
তার জন্য জন্ম রান্না করে বেড়ে দিও
৩.
ভুলে ভরা চুম্বনগুলোই বাঁচিয়ে রেখেছে গাছেদের দুঃখ
তোমার মেঘ দিয়ে তুমি ফুটিয়ে তুলেছো পাখিকলোনি
হেমন্ত পিঠে করে এনেছে তার শাখাভাঙা হাত
তুমি জ্ঞাত হয়েছ
ন্যুব্জ মানুষের উঠোনে পাখিরা পালক ফেলে যায় না
দূরে— দূরে কোথাও কান্নাগুলো ঘর মুছছে
তুলে রাখছে আহত বাণিজ্য— ঠোঁটের ঘাটতি
তুমি ঈশপের গল্পে নিজেকে শুইয়ে দিয়েছো
রোদ লেগে ফেটে যাচ্ছে সেলাই করা অন্নদামঙ্গল
৪.
শীত আসার আগেই নদীগুলোর তলপেটে
আমি জমিয়ে রাখি সুপক্ব আলপথ
যেসব কথা দুঃখিত ছাড়া
কেউ
সম্পাদনা করতে পারে না
তাদের কাছেই খুলে যায় দুপুরের বাইপাস
পায়েস রান্নার সময় একে একে নিজেকে ঢালি
যেন মেঘ এসে পরমায়ু পেতে বসে
যেন গল্পে যথেষ্ট বৃষ্টির প্যারাগ্রাফ থাকে
আমাদের নৌকাগুলো ফেটে যেতে চায় তাদের গর্ভ নিয়ে
জলে জলে ভরে যায় ফকিরের অন্নপূর্ণা
৫.
হে প্রণম্য, তুমি গান ছড়িয়ে চলে গেছ
আর আমরা ভুল ঠোঁটে তা দিয়েছি এতদিন
চোখের শস্যে অনেক বিপন্ন ফুটে উঠছে
মেঘের মেদ থেকে নেমে আসছে বন্যার ভয়
তবু গাছ তার দুঃখ দিয়ে
বহুদিন ডিম্বাণু ভিজিয়ে রাখে
মানুষেরা মাঠে মাঠে সন্তানের বিছন ছড়িয়ে দেয়
আচ্ছা ধানগাছ কী আলোর স্বভাব পেয়ে
ভুলে যেতে পারে তার পূর্ব জন্মের পাখিদের
আসলে বৃদ্ধরা গল্প বলতে ভালোবাসে বলেই
আমাদের ছেলেবেলা কাটে না এক জামায়
তবু কলস খুঁজে নিতে চায় নিজস্ব ভাষার জল
তার পায়ের কাছে বায়সের পাথর পড়ে থাকে
দুঃখ উঠে এসে পিপাসা মুছে দেয়
১.
কুটো আর ধুলো এসে পড়ছে
মিড-ডে মিলের আলাদিনে
কিন্তু বাচ্চাদের আনন্দে টোল পড়ছে না
সব দুঃখ আসলে বৃক্ষের
তার ব্যাংক ব্যালেন্স বিপদ সীমার কাছাকাছি
মাঠের অন্তর্নিহিতে হেঁটে যায় যে মানুষ
সে আদতে ভিজিয়ে দিচ্ছে ফসলের মধুমাস
ভাতের কোনো অহংকার নেই যারা জানে
তাদের মুখ থেকে শিশুর অবিকল নেমে আসছে
২.
গর্ভের দিনগুলোতে আমরা মেঘ মেলে দিয়েছি
পাখিদের থেকে নিয়েছি আবহ সংগীত
আমরা দেখছিলাম কাজপাগল মানুষের শ্রদ্ধা
গাছের ঠোঁটে লেগে থাকা অমিয়ভূষণ
যে আর্য ঈশ্বরের প্রচ্ছদ করেছিল
তার দুঃখের পাশে প্রিয় রেখো তুমি
তার জন্য জন্ম রান্না করে বেড়ে দিও
৩.
ভুলে ভরা চুম্বনগুলোই বাঁচিয়ে রেখেছে গাছেদের দুঃখ
তোমার মেঘ দিয়ে তুমি ফুটিয়ে তুলেছো পাখিকলোনি
হেমন্ত পিঠে করে এনেছে তার শাখাভাঙা হাত
তুমি জ্ঞাত হয়েছ
ন্যুব্জ মানুষের উঠোনে পাখিরা পালক ফেলে যায় না
দূরে— দূরে কোথাও কান্নাগুলো ঘর মুছছে
তুলে রাখছে আহত বাণিজ্য— ঠোঁটের ঘাটতি
তুমি ঈশপের গল্পে নিজেকে শুইয়ে দিয়েছো
রোদ লেগে ফেটে যাচ্ছে সেলাই করা অন্নদামঙ্গল
৪.
শীত আসার আগেই নদীগুলোর তলপেটে
আমি জমিয়ে রাখি সুপক্ব আলপথ
যেসব কথা দুঃখিত ছাড়া
কেউ
সম্পাদনা করতে পারে না
তাদের কাছেই খুলে যায় দুপুরের বাইপাস
পায়েস রান্নার সময় একে একে নিজেকে ঢালি
যেন মেঘ এসে পরমায়ু পেতে বসে
যেন গল্পে যথেষ্ট বৃষ্টির প্যারাগ্রাফ থাকে
আমাদের নৌকাগুলো ফেটে যেতে চায় তাদের গর্ভ নিয়ে
জলে জলে ভরে যায় ফকিরের অন্নপূর্ণা
৫.
হে প্রণম্য, তুমি গান ছড়িয়ে চলে গেছ
আর আমরা ভুল ঠোঁটে তা দিয়েছি এতদিন
চোখের শস্যে অনেক বিপন্ন ফুটে উঠছে
মেঘের মেদ থেকে নেমে আসছে বন্যার ভয়
তবু গাছ তার দুঃখ দিয়ে
বহুদিন ডিম্বাণু ভিজিয়ে রাখে
মানুষেরা মাঠে মাঠে সন্তানের বিছন ছড়িয়ে দেয়
আচ্ছা ধানগাছ কী আলোর স্বভাব পেয়ে
ভুলে যেতে পারে তার পূর্ব জন্মের পাখিদের
আসলে বৃদ্ধরা গল্প বলতে ভালোবাসে বলেই
আমাদের ছেলেবেলা কাটে না এক জামায়
তবু কলস খুঁজে নিতে চায় নিজস্ব ভাষার জল
তার পায়ের কাছে বায়সের পাথর পড়ে থাকে
দুঃখ উঠে এসে পিপাসা মুছে দেয়
ভীষণ কবিতা। এ দুঃখ আগুন বহন করে।
ReplyDeleteভালোবাসা নিও
Deleteখুব ভালো লাগলো
ReplyDeleteখুব খুশি হলাম
Deleteঅনবদ্য সৃষ্টি চেটে পুটে খাচ্ছি
ReplyDeleteভালোবাসা জানবেন
Deleteপ্রীতম তোমার কবিতা চমকে দিচ্ছে বললে, কেমন যেন শোনাবে,প্রশ্ন উঠে আসবে বৃক্ষের শরীরে যেভাবে লতা উঠে আসে,তারচে বলি,জাদু...
ReplyDeleteভালোবাসা নিও গো । ভরসা পেলাম
Delete"ন্যুব্জ মানুষের উঠোনে পাখিরা পালক ফেলে যায় না.."..... অপূর্ব
ReplyDeleteধন্যবাদ জানবেন
Deleteএই কলমের জন্য অপেক্ষা রাখা যায়! ❤️❤️❤️
ReplyDeleteকী জানি শীর্ষা আজকাল খুব মনে হচ্ছে কিছু হচ্ছে না!মনে হচ্ছে সব ছেড়ে দিই! তুমি বরাবর আমার লেখার প্রশংসা করো ভালো লাগে খুব তারপর মনে হয় পাঠককে ঠকাচ্ছি না তো
Deleteঅপূর্ব
ReplyDelete